প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণ রোধে বরিশাল জেলা বাসদের ব্যতিক্রমী ‘মানবতার বাজার’ দ্বিতীয়দিনে দুই শতাধিক অসহায়, দিনমজুর ও দুস্থদের বিনামূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা।
রোববার নগরীর ফকিরবাড়ি রোডস্থ বাসদ কার্যালয় সংলগ্ন মাতৃছায়া স্কুলমাঠে বাসদ কার্যালয় সংলগ্ন মাতৃছায়া স্কুল মাঠে এই ‘মানবতার বাজার’ এর আয়োজন করেন বরিশাল জেলার আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন। তাই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার দুই শতাধিক অসহায়, দিনমজুর ও দুস্থদের বিনামূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাসদ বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী। এসময় মানবতার বাজারে ভলান্টিয়ার হিসেবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, শ্রমিক ফ্রন্ট এবং মহিলা ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন বলেন, একটা পরিবারে যা কিছু প্রয়োজন, তার বেশিরভাগ পণ্যই আমরা এই বাজারে রেখেছি। আজ চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, ডিম, টমাটো, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স, পুঁইশাক, শিশুদের জন্য চকলেট, আচার, চানাচুর, মাস্ক, জরুরি ওষুধ ইত্যাদি দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই আমরা আরও নতুন নতুন পণ্য আমাদের এই মানবতার বাজারে যুক্ত করেছি।
তিনি বলেন, আর্থিক সামর্থ্য এবং পরিবারের সদস্য সংখ্যা বিচার করে প্রতি পরিবারকে একটি রেশন বই প্রদান করা হয়, যেখানে আমরা ৪০০/৫০০ পয়েন্ট প্রদান করি। যা দিয়ে ওই পরিবার বিনামূল্যে প্রায় ৬ থেকে ৭শ’ টাকার বাজার করতে পারে। আমরা চেষ্টা করবো প্রতি সপ্তাহেই প্রতি বইয়ে নতুনভাবে পয়েন্ট যুক্ত করার। আমরা এই সংকটের সময় প্রতিদিনই অন্তত ২০০ পরিবারকে এই সহযোগিতার চেষ্টা করবো।
বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী বলেন- এই দুর্দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সারাদেশেই বাসদের পক্ষ থেকে এ ধরনের নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। বরিশালে এ পর্যন্ত আমরা ৫ সহস্রাধিক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছি, যা এখনো অব্যাহত আছে।
আজ থেকে এক মুঠো চাল কর্মসূচির আওতায় এই ‘মানবতার বাজার’ থেকে অন্তত ৩ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করবো। এর বাইরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ‘এক মুঠো চাল’ এর খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও আমাদের ‘ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিস’ এ প্রতিদিন গড়ে ১৫/২০টি পরিবারকে সেবা দেয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচিগুলো সফল করতে যারা আর্থিক, নৈতিক, স্বেচ্ছাশ্রম এবং পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন প্রত্যেকের দায়িত্বশীলতাকে আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। প্রতিদিনই সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই ‘মানবতার বাজার’ খোলা থাকবে।
রবিবার থেকে তাদের মানবতার বাজার কাযক্রম চালু করা হয়েছে যতদিন পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকবে ততদিন পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।