
বরিশালে কোভিড-১৯-এ (করোনাভাইরাস) আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়াল। গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত বিভাগের ৬ জেলায় নতুন করে ৯৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে মোট রোগী দাঁড়াল ৩ হাজার ৮ জন। এঁদের মধ্যে মারা গেছেন ৬৫ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের ৬ জেলায় নতুন শনাক্ত ৯৫ জনকে নিয়ে সংক্রমিত মানুষের জেলাভিত্তিক হিসাব—বরিশাল জেলায় মোট সংক্রমিত মানুষ ১ হাজার ৫৭৭, পটুয়াখালীতে ৪৩১, ভোলায় ৩০২, পিরোজপুরে ১৩৪, বরগুনায় ২৫৩ ও ঝালকাঠিতে ২৩১ জন। এর মধ্যে গোটা বিভাগে ৯৮১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। বরিশাল জেলায় আক্রান্ত ১ হাজার ৫৭৭ জনের মধ্যে ১ হাজার ৫৮ জনই বরিশাল নগরের বাসিন্দা।
অপর দিকে, করোনায় মারা যাওয়া ৬৫ জনের মধ্যে বরিশাল নগরসহ জেলায় ২৪, পটুয়াখালীতে ২১, ঝালকাঠিতে ৮, পিরোজপুরে ৫, ভোলায় ৪ ও বরগুনায় ৩ জন রয়েছেন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত ৯ এপ্রিল বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার ৩২ ও ৭০ বছর বয়সী দুই ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পর তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাঁরা করোনা ‘পজিটিভ’ হওয়ার মধ্য দিয়ে বিভাগের প্রথম দুজন কোভিড রোগী শনাক্ত হন। এরপর ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭ দিনে বিভাগে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল মাত্র ৮৯। এরপর ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ দিনে আরও ২৮ জন শনাক্ত হলে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৭। এরপর মে মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে তা কিছুটা বাড়ে। এই ১৪ দিনে শনাক্ত ৯৯ জন নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ২১৬। এরপর মে মাসের শেষ ২ সপ্তাহে হঠাৎ করে তা প্রায় ৩ গুণ বেড়ে হয় ৬১৭। এই ১৪ দিনে নতুন করে সংক্রমিত হন ৪০১ জন। জুনের শুরু থেকে সংক্রমণের হিসাবটা দ্রুত পাল্টে যায়। জুনের শেষ ২০ দিনে তা এক লাফে ১ হাজার ৩৯১ জন বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ১৯৮ জনে। এরপর জুনের শেষ ১০ দিনে ৭৪১ জন বেড়ে সংখ্যা দাঁড়ায় দুই হাজার ৯১৩ জন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বরিশাল বিভাগে জুনে সংক্রমণ পরিস্থিতির বেশ অবনতি হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই।