
বগুড়ায় এক মাসে খুন হওয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচ জনই সরকার দলীয় সহযোগী সংগঠনের নেতা। আধিপত্য বিস্তার, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং বহিরাগতদের দলে ভেড়ানোর কারণে এসব খুন বলে মনে করেন রাজনৈতিক নেতারা। করোনার মধ্যে একের পর এক হত্যাকাণ্ডে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ। হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে তদন্তের পাশাপাশি আসামি গ্রেফতারে তৎপর বলে জানায় পুলিশ।
সবশেষ ১৪ জুন দুপুরে বগুড়া শহরের আকাশতারা এলাকায় দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হন সাবগ্রাম বন্দর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব। একদিন আগে একই স্থানে খুন হন শাকিল নামের আরেক যুবলীগ কর্মী। ৫ জুন দুপুরে শাজাহানপুরের শাকপালা এলাকায় চাপাতির কোপে খুন হন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ মিষ্টার।
এর আগে ২৬ মে শহরের চকসূত্রাপুরে ছাত্রাবাসে খুন হয় শহর যুবলীগের ওয়ার্ড সেক্রেটারি ফিরোজ শেখ এবং ২৫ মে সদরের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় যুবলীগ কর্মী বিটলকে।
এসব হত্যাকাণ্ডে শঙ্কিত এবং উদ্বিগ্ন এলাকার নাগরিক সমাজ।
কমিউনিষ্ট পার্টি সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ বলেন, অনেক হত্যা হলেও একটি হত্যারও বিচার হয়নি।
আধিপত্য বিস্তার,রাজনৈতিক পদের আশা ও বহিরাগতদের দলে ভেড়ানোর কারণেই এসব হত্যাকাণ্ড বলে মনে করেন সরকার দলীয় নেতারা।
সদর থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগে আইসা যোগ দিচ্ছে, যুবলীগে আইসা যোগ দিচ্ছে এরা এই সমস্ত কাজগুলা করতেছে।
জেলায় হত্যাকান্ড বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, আসামীদের গ্রেফতারে তৎপর তারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, আমরা প্রতিটা ঘটনাই চিহ্নিত করতে পেরেছি, যেন এমন না ঘটে সে চেষ্টা করছি।
জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বগুড়ায় গত ৩ মাসে ২৩টি হত্যাকাণ্ডসহ ৬৫টি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।