দেশে পহেলা বৈশাখের সকল অনুষ্ঠান স্থগিত

দেশে করোনা ভাইরাস জনিত কারনে এক জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমতঅবস্থায় সকল ধরনের জনসমাবেশ বন্ধকরার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ইতমধ্যে দেশ অঘোষিত লকডাউনের চাজরে ছেয়ে আছে। এর পরিপেক্ষিতে দেশে আশন্ন পহেলা বৈশাখের সব ধরণের অনুষ্ঠান স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

আজ বুধবার (০১ এপ্রিল) উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিট ১৯) এর বিস্তার রোধকল্পে জনসমাগম পরিহার করার লক্ষ্যে আসন্ন ১লা বৈশাখ ১৪২৭ এর সকল ধরণের অনুষ্ঠান/কার্যক্রম ( তিন পার্বত্য জেলার বৈসাবিসহ) স্থগিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জ্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এদিকে, অনুমতি না মেলায় এবার পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে বর্ষবরণের আয়োজন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছায়ানট। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রাও বের হবে না বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, মানুষের নিরাপত্তায় কথা চিন্তা করে সরকারের নির্দেশ মোতাবেক রমনার বটমূলে এবারের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানটি না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের বাজেট দিয়ে দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। এ বিষয়ে আজ বুধবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা যায়, ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে বর্ষবরণের আয়োজন করে আসছে ছায়ানট। এরপর থেকে গত ৫২ বছরের মধ্যে শুধু ১৯৭১ সালেই বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করেনি এ সাংস্কৃতিক সংগঠনটি। এ ছাড়া প্রতিবছর রমনার বটমূলে আয়োজন করা হয়েছে বর্ষবরণের প্রভাতি অনুষ্ঠান। এমনকি ২০০১ সালে ভয়ংকর সিরিজ বোমা হামলার পরের বছরও এ আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠান। তবে এ বছর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত করা হয়েছে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানটি।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৬৪ জেলার সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছর নববর্ষের অনুষ্ঠান বাতিলের নির্দেশ দেন।

নববর্ষে অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের কল্যাণেই অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তবে এখন ডিজিটাল যুগ। সবাই অনলাইনে গান-বাজনা করতে পারবেন। শুধু জনসমাগম করা যাবে না।

এছারা এর পূর্বে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তবে এতে বলা হয়েছে, ১০ ও ১১ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটিও এর সঙ্গে যুক্ত থাকে। এর মানে হলো ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি।