
বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। শুক্রবার (১২ জুন) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড সংখ্যক ৩ হাজার ৪৭১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮১ হাজার ৫২৩ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৬ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫ জনে।
শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯৫০টি। সারাদেশের মোট ৪৯টি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯০টি। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩২২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় সর্বাধিক ৩ হাজার ৪৭১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৯৫ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫০২ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ২৫০ জন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৪৪ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৭৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৮৭ জনের শরীরে। শুক্রবার (১২ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার। এরইমধ্যে ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৪৯৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ৬৫০ জন। এদের মধ্যে ৩২ লাখ ৭৭ হাজার ৭৪৮ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৩ হাজার ৯০২ জনের অবস্থা গুরুতর।