
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফরে গেছি। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা শুনে গর্বে আমার বুকটা ভরে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্বরত শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
শান্তিরক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পতাকাকে আপনারা বিশ্বের দরবারে সমুন্নত রাখবেন। সেজন্য পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। আর যখন যে সরঞ্জাম লাগবে, সেটার ব্যবস্থা আমরা করে দেব।
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১ উদযাপন অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে আজ শনিবার এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আমাদের যারা নিযুক্ত আছেন, তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং সব ধরেনের সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থাও আমরা করছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য যা যা প্রয়োজন, সেটা সঙ্গে সঙ্গে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
সরকার প্রধান বলেন, বিশ্বের যখন যেখানে সফরে গেছি, তখন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা আমাদের শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। যা শুনে গর্বে আমার বুকটা ভরে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ আমরা। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়, বিশ্ব শান্তি রক্ষায় কাজ করছেন আপনারা। যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন। পরকে আপন করে নেওয়ার মতো কঠিন কাজটি করছেন আপনারা। তবে কাজটায় যে আপনাদের কষ্ট হয় সেটা আমরা জানি, কারণ আপনারা বৈরী পরিবেশে দায়িত্ব পালন করছেন। এটা একটা চ্যালেঞ্জও বটে। আমাদের শান্তিরক্ষীরা সবচেয়ে সংঘাতপূর্ণ ও জটিল জায়গায় সফলভাবে কাজ করছে। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি আপনাদের নিয়ে গর্ববোধ করি।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ ভীষণভাবে সারাবিশ্বের মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। এ সময় ধৈর্য্য ও ধীরস্থিরভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে।
অন্যদিকে, শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কর্মরত নারী শান্তিরক্ষীদের প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, নারী পাইলটদের নিয়ে আমি খুব গর্ববোধ করি। সব জায়গায় মেয়েদের এখন একটা ভালো সুযোগে আছে।
অনুষ্ঠানে আরো সংযুক্ত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, পররাষ্ট্র সচিব, বিভিন্ন বাহিনী প্রধান ও বিভিন্ন দেশে কর্মরত শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের বাংলাদেশ কো-অর্ডিনেটর।