কেরানীগঞ্জে ২৪ ঘন্টায় শিশুসহ করোনা আক্রান্তের ৩৬ জন

আজ শনিবার কেরানীগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গতকালের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।আজ  সকাল পর্যন্ত  কেরানীগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬ জন। এনিয়ে মোট কেরানীগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫২ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে এক শিশু, দশজন নারী এবং বাকিরা সবাই পুরুষ। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাঃ মীর মোবারক হোসেন আজ দুপুর ১২:৩৫ মিনিটে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে কেরানীগঞ্জের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন পুরুষ কর্মকর্তা তার বয়স ৫৮ বছর,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ কোয়ার্টারে একজন নারী তার বয়স ৩৭ বছর ও একজন ড্রাইভার তার বয়স ৩০ বছর।

শুভাঢ্যা ইউনিয়নে একজন নারী তার বয়স ৬০ বছর ও ছয়জন পুরুষ তাদের বয়স যথাক্রমে ২৮,৩৮,৪২,৪৫,৫৩, ও ৭০ বছর।

আগানগর ইউনিয়নে একজন তরুনী তার বয়স ১৭ বছর ও একজন পুরুষ তার বয়স ৩৮ বছর।

জিঞ্জিরা ইউনিয়নের   পাঁচজন পুরুষ তাদের বয়স যথাক্রমে ২৯,৩০,৩৪,৩৫,৭২ ও দুই জন নারী তাদের একজনের বয়স ২৪ও অপর জনের বয়স ৫৫ বছর।

তেঘরিয়া ইউনিয়নে একজন পুরুষ তার বয়স ২৬ বছর। কলাতিয়া ইউনিয়নে দুই জন নারী তাদের একজনের বয়স ২০ ও অপর জনের ৩৪ বছর।

কালিন্দী ইউনিয়নে ৯ বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু ও দুই জন পুরুষ তাদের একজনের বয়স ৩২ও অপর জনের ৩৭ বছর।

শাক্তা ইউনিয়নে দুই জন নারী তাদের দুই জনের বয়সই ৬৫ বছর ও তিন জন পুরুষ। কোন্ডা ইউনিয়নে একজন নারী ও দুই জন পুরুষ।

রুহিতপুর ইউনিয়নে দুই জন নারী তাদের একজনের বয়স ৪৮ ও একজন ৬০ বছর।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসেন আরো বলেন,  দিন যত যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে।তাই সকলের কাছে অনুরোধ সবাইকে সামনের দিনগুলোতে আরো সচেতন হতে হবে। একমাত্র নিজ থেকে সামাজিকভাবে সচেতন হলে, সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখলেই কেবল করোনাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তা‌ই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হয়ে ঘরে থাকুন এবংসবাই অবশ্য অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।

উল্লেখ্য গত ৫ই এপ্রিল কেরানীগঞ্জে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়। এরপর ১০০ অতিক্রম করে গত ২৮ এপ্রিল।  ৩ মে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ হয় এবং ২ জুন এ সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়, ১২ জুন তা ৬০০, ১৪ই জুন তা ৭০০  ও আজ ১৯শে জুন তা ৮০০ ঘর  এবং আজ ২৬শেজুন তা ৯০০শর ঘর অতিক্রম করলো ।এখন পর্যন্ত মৃত্যু বরণ করেছেন ২১ জন ও সুস্থ হয়ে উঠছেন ৩৬০জন এবং এখন পর্যন্ত মোট পরিক্ষা হয়েছে ৩৩০০ জনের কাছাকাছি।

প্রতিবেদক : টিটু আহম্মেদ  (স্টাফরিপোর্টার)