
জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন, আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর , তারা দেশিয় অস্ত্রদ্বারা মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। গতকাল শনিবার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার কোন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল মোল্লা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মো: জাহিদ (২০), নাহিদ (২২), মমতাজ বেগম (৪৩), বকুল (৪৫), নূরজাহান বেগম (৩৫), জিহাদ মিয়া (৩০) গুরুতর আহত হন। আহতদের স্যার সলিমুল্ল্যাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে এলাকাবাসী জানান, জমি দখল কেন্দ্র করে স্থানীয় আলমাস ও মজিবরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আজ হঠাৎ মজিবর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে আলমাসের জায়গা দখল করতে গেলে আলমাস বাধা প্রদান করেন। এতে মজিবর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আলমাসকে মারধর ও তার বাড়িঘর ভাংচুর শুরু করেন। একপর্যায়ে সন্ত্রসী বাহিনীরা আলমাসের পরিবারের সবাইকে মেরে একটি ঘরে জিম্মি করে রাখে। প্রায় দুঘণ্টা ধরে তাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালায়। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়
ভুক্তভোগী আলমাস জানান, আমাদের নিজস্ব পৈত্তিক সম্পত্তিতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাপ দাদারাসহ বসবাস করে আসছি। আমার পাশের জমির মালিক মজিবরের স্ত্রী ফাতেমা ভুয়া কাগজ তৈরী করে আমার সম্পত্তি রুস্তুমের কাছে বায়না করেছে। যা ইতোপূর্বে কোন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ও আতিকুল্ল্যাহ কয়েক দফা সালিশি করে মিমাংসা করেছেন। চেয়ারম্যানরা কাগজ দেখে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশের এএসআই জাকির হোসেন জানান, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কাউকে পাওয়া যায়নি। আমাদের আসার খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়েছে। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজন মহিলার হাতে ও দুজনের মাথায় আঘাত রয়েছে, তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদক : টিটু আহম্মেদ (স্টাফরিপোর্টার)