
ঢাকার কেরানীগঞ্জে (র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন) র্যাব-১০ এর পৃথক দু’টি বিশেষ অভিযানে চোরাইকৃত মালামালসহ দুই চোর ও খেলনা পিস্তলসহ এক ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব মিডিয়া সেল থেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানানো হয়,র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (৭ই এপ্রিল) আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার আগানগর কেমি শাহ ১ নং গলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে (কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মামলা নং ১০/১৭৯, তারিখ ০৬/০৪/২০২১ খ্রিঃ ধারাঃ ৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড) মামলার আসামী মোঃ রাজন (২৩) ও মোঃ আল আমিন (৩৪) নামের দুই চোর কে গ্রেফতার করে।
এসময় তাদের নিকট থেকে চোরাইকৃত প্রায় ২২.৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ০১ টি ল্যাপটপ ও ০৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া অপর একটি বিশেষ অভিযানে একই দিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন পূর্ব চড়াইল রেখা মেম্বরের গলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০১ জন ধর্ষককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ রবিন শেখ (২৫)। সে নিজেকে বিভিন্ন সময় পুলিশ সদস্য হিসাবে মিথ্যা পরিচয় প্রদান করত।এসময় তার নিকট থেকে ০১টি কথিত খেলনা পিস্তল, ০২টি মোবাইল ফোন, ও এডিটিং করা পুলিশের পোষাক পরিহিত ছবি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গত ০২ মাস পূর্বে রবিন শেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন লোক ভিকটিম এর বাসায় এসে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। এসময় ভিকটিমকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাসানোর ভয় দেখিয়ে তার বাসা হতে নগদ টাকা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিস জোর পূর্বক নিয়ে যায়। কিছুদিন পরে আসামি পুনরায় ভিকটিম এর বাসায় ঢুকে খেলনা পিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় আসামি এই ঘটনার ছবি / ভিডিও মোবাইল এ ধারণ করে। পরবর্তীতে এই ছবি/ভিডিও ফেসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভিকটিম এর অসম্মতিতে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে আসামির নজর যায় ভিকটিম এর মেয়ের দিকে। সে ছবি/ ভিডিওর ভয় দেখিয়ে ভিকটিম এর মেয়েকেও ধর্ষণের চেষ্টা করলে ভিকটিম র্যাবের কাছে অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আসামির মোবাইল ফোন থেকে ভিকটিম এর সাথে জোরপূর্বক ধর্ষনের ভিডিও/ছবি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত আসামির বেশ কিছু ছবি পাওয়া যায়। এসব ছবির বিষয়ে আসামি জানায় ছবিগুলি বিশেষ অ্যাপস এর মাধ্যমে এডিট করে তৈরি করা। সে নিজেকে ফেসবুক এ পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মানুষের সাথে এরকম অপকর্ম করে আসছে বলে জানা যায়।
প্রতিবেদক : টিটু আহম্মেদ (স্টাফরিপোর্টার)