
কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড় মনোহরিয়া গ্রামে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি মেম্বার দুলাল খানকে (৫৫) কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুলাল খান সাংবাদিকদের জানান, “তারানগরের বড় মনোহরিয়া গ্রামে নিজ বাড়ির কাছে একটি দোকানের সামনে তিনি দাড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ১০/১২ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়”।
দুলাল খান আরও জানান, “এ হামলার পেছনে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সিদ্দিকের হাত রয়েছে। আবু সিদ্দিকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন সময় তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বাধাঁ দেওয়ার জের ধরে আবু সিদ্দিক তাকে কুপিয়ে জখম করেছে”।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সিদ্দিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। মনোহরিয়া গ্রামে আমার ভগ্নিপতি আব্দুল হাই তার নিজস্ব জায়গার উপর নির্মাণ কাজ করতে ছিলেন। দুলাল সেখানে উপস্থিত হয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। না হলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকী দেন। এ সময় আমার ভগ্নিপতির সাথে দুলাল মেম্বারের বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুলাল উত্তেজিত হয়ে গালাগাল করলে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত লেবাররা তাকে প্রতিহত করে। আমার জানা মতে এটুকুই ঘটনা ঘটেছে কোন মারপিট হয় নাই”।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, “ঘটনাটি শুনে তিনি হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে আবু সিদ্দিকের পক্ষে একটি অভিযোগ পেয়েছি দুলালের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগে পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
প্রতিবেদক : টিটু আহম্মেদ (স্টাফরিপোর্টার)