
কুমিল্লা জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আজ শনিবার এক দিনে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন জেলায় আরও ১৩১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়াল আড়াই হাজার। কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ও করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন আজ সন্ধ্যা ছয়টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় দুজন; মনোহরগঞ্জে দুজন; দেবীদ্বার, বুড়িচং ও চৌদ্দগ্রামে একজন করে মোট সাতজন মারা গেছেন। এদিন নতুন করে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ৩৯ জন, মনোহরগঞ্জে ১৯ জন, দাউদকান্দিতে ১৮ জন, চৌদ্দগ্রামে ১২ জন, চান্দিনায় ৯ জন, বরুড়ায় ৮ জন, হোমনা ও আদর্শ সদর ৫ জন করে, সদর দক্ষিণ, লালমাই ও তিতাসে ৪ জন করে, নাঙ্গলকোটে ২ জন এবং বুড়িচং ও মুরাদনগরে ১ জন করে আছেন। এদিন সুস্থ হয়েছেন ৫০ জন। এর মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ৩৩ জন, দেবীদ্বারে ১১ ও চৌদ্দগ্রামে ৬ জন। মোট শনাক্ত ২ হাজার ৬০২ জন কোভিড রোগীর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৪৭ জন। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মারা গেছেন ৭৮ জন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন বলেন, কুমিল্লা জেলায় গত কয়েক দিনে মারা যাচ্ছেন গড়ে পাঁচজন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। সিটি করপোরেশনে রোগী পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। কুমিল্লা শহরকে সংক্রমণমুক্ত রাখতে হলে পুরো শহর লকডাউন করতে হবে। আংশিক লকডাউনে সংক্রমণ রোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। পুরো শহরেই রোগীর সংখ্যা ৬৬২ জন। শহরের পুরো কমিউনিটিতে করোনার বিস্তার ঘটেছে।