
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা অংশে ভারতীয় বাহিনী সংঘাতে জড়িয়েছে বলে দাবি করেছে বেইজিং। সংঘাতের জন্য নয়াদিল্লিকেই দায়ী করেছে শি প্রশাসন। তাদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে দু’দেশের সীমান্তে চরম পরিস্থিতিতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছে নয়াদিল্লি। এরমধ্যেই, সংকট সমাধানে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের প্রতিবাদে ভারতে চীন বিরোধী বিক্ষোভ অব্যহত আছে। শনিবারও পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা জানায়, পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মতো আমরাও শান্তি চাই। চীন-ভারত যুদ্ধ কেউই চায় না। দেশকে ভালোবাসি। তবে ভূখণ্ডের এক টুকরো জমিও ছাড়বো না।
চীন বলছে, গালওয়ান উপত্যকায় তাদের অংশে প্রবেশ করে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করেছে ভারত। হতাহতের পুরো ঘটনার জন্য নয়াদিল্লিকেই দায়ী করেছে তারা। শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধানও চায় বেইজিং।
সীমান্ত অতিক্রমের চীনা দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে মোদি প্রশাসন। গেলো মাস থেকে ভারতীয় বাহিনীকে নিজেদের ভূখণ্ডে টহলে চীন বাধা দিয়েছে বলেও দাবি নয়াদিল্লির।
ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধান রাকেশ কুমার জানান, গ্রীষ্মে প্রশিক্ষণের জন্য ওই এলাকায় চীন অধিক সংখ্যক বিমানের সমাবেশ ঘটায়। কিন্তু এবার তার চেয়েও অনেক বেশি। সব বিষয়ে আমরা অবগত। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিমান বাহিনী প্রস্তুত।
এদিকে, লাদাখে সংঘাতের জন্য চীনকে দায়ী করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সংকট সমাধানের বিষয়ে দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
এরমধ্যেই, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, সীমান্তে সেনা এবং সামরিক সরঞ্জামের মজুদ বাড়াচ্ছে চীন-ভারত। লাদাখের পাশাপাশি দোকলাদ ও সিকিম সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বেইজিং। ভারত-চীন সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার নীতি থাকলেও, চরম মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে নয়াদিল্লি।