বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, আহত শতাধিক

যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার কারণে সৃষ্ট বিক্ষোভে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। ওই কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যার জের ধরে গেল আটদিন সহিংসতা চলছে দেশজুড়ে।

নিহতদের মধ্যে ডেট্রোয়েট, শিকাগো, ওমাহা, ডেভেনপোর্ট, অকল্যান্ড, লুইভিলের বাসিন্দা রয়েছে। তাদের বেশিরভাগ আফ্রিকান আমেরিকান। বিক্ষোভ চলাকালীন ওকল্যান্ডে ফেডারেল প্রোটেকটিভ সার্ভিস অফিসার ৫৩ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ ডেভ প্যাট্রিক আন্ডারউড গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এসময় আরেকজন অফিসার গুরুতর আহত হন। ওমাহায় ২২ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ জেমস স্কারলক নিহত হয়েছেন। তিনি ও তার দল একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে মারধর করছিলেন। এসময় ওই ব্যক্তি স্কারলককে লক্ষ্য করে গুলি করলে তার মৃত্যু হয়।

সংবাদমাধ্যম এপির তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিনের বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ হাজার ৪শ’ মানুষকে আটক করা হয়। তাদের বেশিরভাগই লুট, কারফিউ ভঙ্গ এবং সড়কে ব্যারিকেড দেওয়ার অপরাধে আটক হয়েছেন। বিক্ষোভ দমনে ওয়াশিংটন, লস এঞ্জেলেস, নিউইয়র্কসহ ৪০টিরও বেশি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

গেল মাসের ২৫ তারিখ মিনিয়াপোলিসে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মিনিয়াপোলিসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়।