
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এবার হানা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। রোববার থেকে দফায় দফায় ঘূর্ণিঝড়ে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্য লণ্ডভণ্ড হয়েছে। এতে অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছে এবং ঝড়ের পর অন্তত ১০টি রাজ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।
জানা যায়, রোববার থেকে শুরু হওয়া এ ঘূর্ণিঝড় সোমবার রাত পর্যন্ত আলাবামা, জর্জিয়া, ক্যারোলিনা, মিসিসিপিসহ দক্ষিণ-পশ্চিমের রাজ্যে তাণ্ডব চালিয়েছে। এ সময় বড়-ছোট মিলিয়ে মোট ৬০টি টর্নেডো আঘাত হানে।
দুর্যোগে সবচেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে। রাজ্যটিতে মোট ১১ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া জর্জিয়ায় আট জন, ক্যারোলিনায় নয় জন, টেনেসিতে তিন জন ও আরকানসাস রাজ্যে এক জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
মিসিসিপিতে নিহতদের মধ্যে লাওরেন্স কাউন্টির ডেপুটি শেরিফ রবার্ট এইনসওর্থ ও তার স্ত্রী পাউলা রয়েছেন। রাজ্যের শেরিফ কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহত ডেপুটি শেরিফ ঝড়ের সময় তার স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারান।
ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব শেষ হওয়ার পর দেখা গেছে ঘরবাড়ি তছনছ হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বাস করছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ। সেইসঙ্গে অন্তত ১০টি রাজ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে।
মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা আগে থেকেই নাজেহাল হয়ে আছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত রেকর্ড পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৬৪ জন মানুষের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মৃত্যু হয়েছে রেকর্ড ২৪ হাজার ৬০০ জনের। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে দেশটিতে।