উহানে আবারও নতুন পাঁচজনের দেহে করোনা শনাক্ত

বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে গত কয়েক মাস ধরে বারবার শিরোনামে ওঠে এসেছে চীনের উহান শহর। কেউ বলেন, উহানের মাছের বাজার থেকে ছড়িয়েছে ভাইরাস, কেউ বলছেন উহানের ভাইরোলজি ল্যাবরেটরি থেকে নাকি বেরিয়ে এসেছে করোনাভাইরাস।

তবে সব বিতর্ক পিছনে ফেলে উহান করোনা মুক্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছিল। কিন্তু ঠিক এক মাস পর ফের ফিরে এল সেই অভিশাপ। ৩ এপ্রিলের পর নতুন করে উহান শহরে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। উহানে পাঁচজন ব্যক্তির শরীরে মিলেছে করোনার উপস্থিতি।

গত ৩ এপ্রিল শেষবার করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল উহানে। এরপর থেকে একরকম করোনামুক্ত হয়ে গিয়েছিল উহান। কিন্তু এবার ফের আক্রান্তের সন্ধান পাওয়ায় আতঙ্ক বাড়ল। লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার পর আবারো করোনার সংক্রমণ মিলায় অনেকেই ধারণা করছেন করোনার হাত থেকে হয়তো মুক্তি পাওয়া অসম্ভব।

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যে দেশগুলো কঠোর লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসছে এবং লোকেরা আরো নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছে তাদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। চীন সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞাগুলো সহজ করছে এবং নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও নেই বললেই চলে।

উহানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা সংক্রমণের কয়েকটি নতুন কেস পাওয়া গেছে। একটি আবাসিক প্রকল্পের আশে পাশে এই নতুন করে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। গত ৮ এপ্রিল কঠোর লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার পর প্রথম এই কমিউনিটি সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়।

এদিক, শুধু উহানেই নয়; শুলান শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্তবর্তী প্রদেশ জিলানের এই শহরে নতুন করে ১১ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শনিবার ১১ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। তারা কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের শিকার।

শুলানে করোনার সংক্রমণ পাওয়ার পরই সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে লকডাউনও ঘোষণা করা হয়েছে। গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি আদেশে সকল খোলা জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকল ধরনের যানবাহন বন্ধ রয়েছে। শহরটির সকল নাগরিকদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। প্রতিদিন এক পরিবারে একজন সদস্যকে বাড়ির বাইরে বের হতে বলা হচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি।