মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় গোটা বিশ্ব দৌড়ের ওপর আছে, প্রতি মুহূর্তে ঝড়ছে প্রাণ। কিন্তু একে প্রাকৃতিক ভাইরাস হিসেবে বলতে নারাজ এক মার্কিন আইনজীবী। তিনি একে চীনা জৈব মরণাস্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে চীন সরকারের বিরুদ্ধে ২০ লক্ষ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন।
ওই আইনজীবীর নাম ল্যারি ক্লেম্যান। তবে শুধু তিনিই নন, তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম ওয়াচ ও বাজ ফটোস চীনের সেনাবাহিনী, উহানের জীবাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও একটি মামলা করেছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টও চীনের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে অভিযোগ আনেন।
খবরে বলা হয়েছে, টেক্সাসের আদালত এই মামলা ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে।
মামলাকারীদের অভিযোগ, কোনো প্রাকৃতিক বিবর্তন নয়, বরং চীনের গবেষণাগারেই দীর্ঘদিন ধরে এই জীবাণু তৈরি করা হচ্ছিল। সেই মরণাত্মক জীবাণুই এখন বিশ্ববাসীর প্রাণনাশের কারণ হয়ে উঠেছে।
এনডিটিভি বলছে, অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসটি চীন ‘যুদ্ধের জৈবিক অস্ত্র’ হিসেবে তৈরি করেছে। দেশটির ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় এটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে মার্কিন আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন, চুক্তি ও নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে।’
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, ‘মার্কিন সেনাবাহিনী অথবা যারা চীনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে, তাদের ধ্বংস করতেই এই মরণঘাতী ভাইরাস তৈরি করেছে চীন। উহানের ল্যাবরেটরি থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।’
খবরে বলা হয়েছে, মামলার পাশাপাশি চীনের কাছে ২০ লক্ষ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। যা চীনের সমগ্র অর্থনীতির চেয়েও বেশি।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসের জন্য চীনকে দায়ী করেন। এটিকে ‘চাইনিজ ভাইরাস’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প।
