দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড

দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এ পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যা ছিল গতকাল পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫ হাজার ২২৯। একই সময়ে দেশে আরো ৯ হাজার ৯৬৪ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় অনেকেটা বেশি। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১। 

আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। দেশে করোনা শনাক্তের পর থেকে প্রতিদিনই পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার আপডেট জানিয়েছে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪২টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ২টি। এর মধ্যে আরো ৯ হাজার ৯৬৪ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় অনেকটা বেশি এবং এ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্ত। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৮ হাজার ৬৬১ জন। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জন। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬২টি।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আরো ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এ পর্যন্ত একদিনে মৃত্যুর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গতকাল পর্যন্ত সেটা ছিল একদিনে রেকর্ড মৃত্যু। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল গত ১ জুলাই। ওই দিন দেশে ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ হাজার ২২৯ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০৯ জন পুরুষ এবং ৫৫ জন নারী। এর মধ্যে ১৫ জন বাড়িতে এবং বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৫৫ জনই খুলনা বিভাগের। এ ছাড়া ঢাকায় ৪০, চট্টগ্রামে ১৮, রাজশাহীতে ১৬, বরিশালে ৯, সিলেটে ৮, রংপুরে ১৬ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন মারা গেছেন।