কেবল কাগজে-কলমেই ১১ দফা নির্দেশনা

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা কেবল কাগজে-কলমেই। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে যেমন নেই সচেতনতা তেমনই নীতি-নির্ধারকদের হাঁকডাকের পরও এসব নির্দেশনা মানাতে নেই প্রশাসনের কোনো তৎপরতা।

এক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানান, কঠোর নজরদারি ছাড়া এগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সবাই চলছে মাস্কবিহীন। মাস্ক ব্যবহার আর স্বাস্থ্যবিধির উদাসীনতায় বোঝার উপায় নেই ওমিক্রনের প্রভাবে কোভিড ঊর্ধ্বগতিতে আবারো বিধিনিষেধের কড়াকড়িতে দেশ।

বাজারের মতো জনসমাগমের জায়গায় অনেকেরই নেই মাস্ক, কারও বা থাকলেও নেই তার সঠিক ব্যবহার। সেক্ষেত্রে অজুহাত দেখাতেও পিছপা নন কেউই।

নতুন বিধিনিষেধের প্রথম দিন রাজধানীতে উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ চোখে না পড়লেও ব্যস্ততম সব জায়গাতেই উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। উদাসীনতার ছাপ গণপরিবহনেও।

আবার আগামী শনিবার থেকে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলার নির্দেশনা নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।বাসের একযাত্রী বলেন, সরকার যদি সবকিছু খোলা রাখে তাহলে বাসের মধ্যে কি করোনা থাকে। বাসে যদি অর্ধেক আসন রেখে চলার নিয়ম করে আর মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেন তাহলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন চালানো খুবই কষ্টকর।তবে বারবার কঠোর হওয়ার ব্যাপারে নীতিনির্ধারকরা বেশ হাঁকডাক দিলেও বৃহস্পতিবার নির্দেশনা মানাতে দেখা যায়নি প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানুর রহমান বলেন, সঠিক নজরদারি করতে না পারলে কাজে আসবে না কোনো নির্দেশনাই।

 জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানুর রহমান আরও বলেন, কিছু কিছু জায়গাতে সচেতনার জিনিসগুলো বিনামূল্যে দেওয়া উচিত ছিল। গণজমায়েত এটা তো রাতারাতি বন্ধ করা উচিত ছিল। গণজমায়েত খোলা রেখে মানুষকে মাস্ক পরতে বলা হাস্যকর। এটা আসলে মানুষ মানবে না। কোনো কিছু মানাতে গেলে দৃশ্যমান কোনো কিছু থাকতে হয়।

কোভিড প্রতিরোধে মাস্কের সঠিক ব্যবহার আর টিকা নেয়ার ওপর জোর দেন তিনি।