
বিআইডব্লিউটিসির নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে ও কিছুদিন আগে নৌ দুর্ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রবিবার সকাল ১১টা থেকে কেরানীগঞ্জের গুদারাঘাট ও তেলঘাট এলাকায় নদী পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বিআইডব্লিউটিসির ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ন পরিচালক এ,কে,এম আরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মাহাবুব জামিল কোষ্টগার্ড ও নৌপুলিশের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় শতাধিক টংঘর, একটি সরকারি দলের রাজনৈতিক অফিস উচ্ছেদ করা হয় ও অবৈধ ভাবে নৌ চ্যানেল আটকিয়ে লঞ্চ নোঙ্গর করায় মালেক ৭ নামের এক বাল্কহেডের স্টাফ মোঃ হোসেন (৩৫) কে আটক এবং মানিক ৩ ও কাজল নামের দুটি লঞ্চকে মৌখিকভাবে সর্তক করা হয়।এ ছাড়া নদী তীরে ময়লা আবর্জনা ফেলায় স্থানীয় মার্কেট কতৃপক্ষকে মৌখিকভাবে সর্তক করা হয় এবং ভবিষ্যতে আবারও ময়লা আবর্জনা ফেললে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
একটি রাজনৈতিক অফিস উচ্ছেদ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিসির ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ন পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিনের বলেন, নদী পাড়ের সরকারি সম্পত্তিতে কাউকে অবৈধ স্থাপনা গড়তে দেয়া হবে না তা সে যেই হোক না কেন। আমরা ২০১৯ সালের ২৯শে জানুয়ারী থেকে বুড়িগঙ্গা পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছি যা এখনও চলমান। করোনার কারনে কিছুদিন এ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সুযোগসন্ধানীরা এ অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে যা আজ উচ্ছেদ করা হয়েছে।
প্রতিবেদক : টিটু আহম্মেদ (স্টাফরিপোর্টার)