মাঝ রাতে ভ্যানগাড়ী চালিয়ে কর্মহীন ওয়ার্ডবাসীর বাসায় খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছেন কাউন্সিলর জামাল হোসেন

শহীদুল্লাহ সুমন :: দেশে করোনা ভাইরাস নিয়ে এক জরুরী অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে । লকডাউনের আদোলে ছেয়ে আছে সারা দেশ। এতেকরে বিপাকে পরেছে হতদরিদ্র মানুষেরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশ মেনে ঘরে থাকা কর্মহীন অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে নিজ অর্থায়ণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য নিয়ে মধ্যরাতে নিজেই ভ্যানগাড়ী চালিয়ে ছুটে গেলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খান মোঃ জামাল হুসাইন। কাউন্সিলরের এমন মানবিক আচরণ প্রশংসা করার দাবীদার এমনটি মনে করছেন সচেতনমহল। মানুষ মানুষের জন্য- এরই মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কাউন্সিলর খান মোঃ জামাল হুসাইন।

গত ৫/৬ দিন যাবত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশে ওয়ার্ডের কর্মহীন অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

মানুষের বিপদের সময় পাশে থেকে সহযোগিতা করাই মানুষের ধর্ম। একটু সহযোগিতার, সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দিলে যদি একটি পরিবারের মুখে হাসি ফুটে, একজন মানুষ ভালোভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখে তাতেই হয়তো জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়। করোনার এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পড়েছেন দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষগুলো। তেমনি মানবিকতার টানে কাউন্সিলর খান মোঃ জামাল হুসাইন মধ্যরাতে ছুটছে কর্মহীন অসহায় মুখে খাবার তুলে দিতে।

স্থানীয় রিকশাচালক রফিক বলেন, রাতে হঠাৎ ঘরের দরজায় এসে লোক বলে ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরিবারের সদস্যরা ভয় পেয়ে যান। অনেকটা ভয় নিয়ে দরজা খুলে দেখি চাল-ডাল, আলু, পেঁয়াজের ব্যাগ নিয়ে কাউন্সিলর খান মোঃ জামাল ভাই দাঁড়িয়ে আছেন। তখন আনন্দে চোখে পানি এসে যায়। আমার মতো গরিবের বাড়িতে এসে এতো রাতে কাউন্সিলর চাল-ডাল দেবেন ভাবিনি। এ অনন্দ বলে বোঝাতে পারব না। কাউন্সিলর খান মোঃ জামালের জন্য অনেক দোয়া করি।

কাউন্সিলর খান মোঃ জামাল হুসাইন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশ মেনে ঘরে থাকা কর্মহীন অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো খুব খারাপ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। ওষুধের দোকান এবং কাঁচাবাজার ছাড়া বন্ধ সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও। এজন্য বিপুল পরিমাণে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে ঘরে বসে থাকতে পারলাম না। আমি কাজটি গোপনে করতে চেয়েচিলাম। কিন্তু তা সম্ভব হলো না। স্থানীয় কিছু বিত্তশালীরা আমার পাশে দাড়িয়েছেন। আল্লাহ সহায় হলে আমার কার্যক্রম শেষ পর্যন্ত অব্যহত থাকবে।