কুমিল্লায় কিশোরীকে গণধর্ষণ

কুমিল্লায় সতের বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

বুধবার (৭ জুলাই) বিকালে কুমিল্লার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিনের আদালতে তারা স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরের এক কিশোরীর সাথে ৭-৮ মাস যাবত একই এলাকার ফয়সাল নামে এক যুবক প্রেম করে আসছিল। গত ২ জুলাই ওই কিশোরী বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যায়। পরে সে গত ৬ জুলাই প্রেমিক ফয়সালের সাথে যোগাযোগ করে নাঙ্গলকোটে আসে। সেখানে আসার পর তুলাপুকুরিয়া এলাকায় প্রেমিক ও তার আরও ৫ বন্ধু তাকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে সকলে মিলে রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় প্রেমিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় ধর্ষিতা ওই কিশোরী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- নাঙ্গলকোট উপজেলার মকরবপুর এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে রাসেল (২০) ও একই উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে শিবলু (১৯)।

এদিকে বুধবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করে পুলিশ। নাঙ্গলকোট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশ্রাফুল ইসলাম জানান, মামলায় অভিযুক্ত প্রেমিক ফয়সালসহ অপর ৪ জনকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।