
দেশে মরণব্যাধী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ব্যাপকতা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে ৫৭টি জেলা ও বিভিন্ন অঞ্চলে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জে। শুধু এই দুটি জেলাতেই সংক্রমণের সংখ্যা ২ হাজার ৩১ জন। এ ছাড়া গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলাতেও সংক্রমণের হার অন্য জেলাগুলোর চেয়ে বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্যমতে, ভাইরাসটি সবচেয়ে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকায়। ইতোমধ্যে এখানে ১ হাজার ৫০০ এর বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রাজধানীতে এই সংখ্যাটা ১ হাজার ৫২৩ জন। আর প্রতিদিনই তা বাড়ছে।
ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলায়। সেখানে এখন পর্যন্ত ৫০৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলাটিকে ক্লাস্টার জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তি হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছে অথবা তার দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে ২১ জেলায় করোনা ছড়িয়েছে।
বিপর্যয়ের তালিকায় এরপরই রয়েছে গাজীপুর জেলা। সেখানে প্রতিদিনই সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে সেই সংখ্যাটা ২৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। জেলাটিকে ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে ঘোষণা করেছে আইইডিসিআর।
মহামারি এই ভাইরাসটির সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে এরপরই রয়েছে কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা। এর মধ্যে শুধু কিশোরগঞ্জে এখন পর্যন্ত ১৪৬ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আর নরসিংদীতে সেই সংখ্যাটা ১৩৬ জন।
দেশের অন্যান্য জেলার মধ্যে ময়মনসিংহে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৩ জন, মুন্সিগঞ্জে ৬১, চট্টগ্রামে ৪৩, গোপালগঞ্জে ৩৫, বরিশালে ৩৪, জামালপুর ২৯, মাদারীপুর ২৭, কুমিল্লা ২৬, লক্ষ্মীপুরে ২৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৪, নেত্রকোনা ২২, শেরপুর ১৯, বরগুনা ১৭, টাঙ্গাইল ১৫, গাইবান্ধা ১৩, দিনাজপুর ১৩, হবিগঞ্জ ১৩, শরীয়তপুর ১১, চাঁদপুর ১০, নীলফামারী ১০, রাজবাড়ী ১০, পটুয়াখালী ১০, রংপুর ৯, মানিকগঞ্জ ৯ ও রাজশাহীতে ৯ জন।
এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ৮, নড়াইল ৭, ফরিদপুর ৬, পিরোজপুর ৫, ঝালকাঠি ৫, যশোর ৫, বগুড়া ৫, কক্সবাজার ৫, সিলেট ৪, নোয়াখালী ৪, খুলনা ৪, জয়পুরহাট ৪, বান্দরবান ৪, কুড়িগ্রাম ৩, ফেনী ৩, পাবনা ৩, লালমনিরহাট ২, বাগেরহাট ২, মৌলভীবাজার ২, চুয়াডাঙ্গা ২, সিরাজগঞ্জ ২, মেহেরপুর ২, পঞ্চগড় ২, নওগাঁ ১, সুনামগঞ্জ ১ ও চাপাইনবাবগঞ্জে ১ জন করে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।