
জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বিয়ারা পলাশতলা এলাকায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার গুদাম থেকে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৭ বস্তা চাল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে তিনি দাবি করেন, এই চাল তাঁর নয়। তাঁর কাছ থেকে এই দোকান ভাড়া নিয়ে আরেকজন গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছেন।
এই নেতার নাম হাবিবুর রহমান। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। তিনি জামালপুর জেলা পরিষদের সদস্যও।
আজ শুক্রবার বিকেলে জামালপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা বেগম অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করেন।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বিকেলে পলাশতলা এলাকায় হাবিবুর রহমানের গুদামে অভিযান চালান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা বেগম। সেখান থেকে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৭ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। এই চাল দরিদ্র মানুষের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা ছিল।
হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘বিয়ারা পলাশতলায় আমার ১৮টি দোকান রয়েছে। ওই সব দোকান থেকে একটি দোকান নূর ইসলাম নামের এক ধান-চালের ব্যবসায়ী ভাড়া নিয়েছেন। তিনি তিন বছর ধরে সেটাকে গুদাম বানিয়ে ব্যবসা করেন। এসব চাল আমার নয়।’
জামালপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা বেগম বলেন, হাবিবুর রহমানের গুদাম থেকেই চালগুলো জব্দ করা হয়েছে। তবে ওই গুদাম নাকি নূর ইসলাম নামের একজন ভাড়া নিয়েছেন। চালগুলো কার, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ঘটনাটি দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তপূর্বক তারাই আইনগত ব্যবস্থা নেবে।