করোনায় বিপিএল নিয়ে শঙ্কা

বিশ্বজুড়ে করোনার প্রভাবে এবার অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট-বিপিএল। এমনটাই জানিয়েছেন বিপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটি যে অবস্থা তাতে করে নভেম্বরে বিপিএল হওয়ার সম্ভবনা আছে কিনা। যদি অবস্থা ভালো হয়। সারা বিশ্বের অবস্থা খুব খারাপ। সব কিছুই বন্ধ। কারণ সার্বিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করবে আগামী নভেম্বরে বিপিএল আয়োজনের, তখন ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা যাবে।

যে কারণে নভেম্বরে বিপিএল মাঠে গড়ানো নিয়ে আছে দারুণ শঙ্কায়। শেষ পর্যন্ত বিপিএলের এবারের আসর না হলে সেক্ষেত্রে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে ক্রিকেট বোর্ড।

গত বছর ৭ম আসরটি হয়েছে এ বছরের জানুয়ারিতে। কারণ জাতীয় নির্বাচনের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। তাই পূর্বে ঘোষণা ছিলো ২০২০ সালে সব কিছু ঠিক থাকলে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট বিপিএলের ৮ম আসর এ বছরে নভেম্বরে মাঠে গড়াবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় গর্ভনিং কাউন্সিল।
কিন্তু বাস্তবতা হলো সব কিছু কেন? পৃথিবীর কোনো কিছুই ঠিক নেই। করোনার ছলনায় সারাবিশ্বের মানুষ এখন মৃত্যুর আতঙ্কে দিন যাপন করছে। এর মাঝে ক্রিকেট এখন দিবা স্বপ্ন। করোনার ভয়াল থাবা তাই স্বাভাবিক ভাবেই আঘাত হেনেছে বিপিএল আসরেও। চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে নভেম্বরে হতে যাওয়া ৮ম আসরটি।

এর আগে করোনার আগ্রসনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের একাধিক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়েছে স্থগিত। শঙ্কার মুখে আছে টাইগারদের আরো অনেকগুলো সিরিজ। এতেও বোর্ড আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। বাড়তি ক্ষতি হিসেবে যোগ হচ্ছে বিপিএল। বিসিবি’র আয়ের অন্যতম উৎসহ বিপিএল আসর। এবারে আসর মাঠে না গড়ালে আর্থিক দিক থেকে বিশাল ধাক্কা খাবে ক্রিকেট বোর্ড।

বিপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল বলেন, আসলে আপনারা দেখছেন যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিপিএল পিছিয়ে গিয়েছিল। বিপিএল থেকে বিসিবি আর্থিক সুবিধা পায়। আর যদি বিপিএল না হয় সেক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতি হবে।

গত ২০১২ সালে ফিক্সিং বিষ ফোড়ায় বিপিএল আসর মাঠে গড়াইনি। এবার বিপিএল আসরে হামলা দিল অদৃশ্য শক্র করোনাভাইরাস।