
গেলো বছর শুরু হওয়া করোনা মহামারিতে সংক্রমণের পর মৃত্যুর দীর্ঘ মিছিল এখনো দেখে চলেছে বিশ্ববাসী। সাম্প্রতিক ইতিহাসে দেশে দেশে মৃত্যুর এমন ভয়াবহ চিত্র দেখেনি মানব জাতি। এখানেই শেষ নয়, দ্বিতীয় বছরে মৃত্যু আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এই আশঙ্কার কথা জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। তিনি বলেন, প্রথম বছরের চেয়ে দ্বিতীয় বছরে করোনা আরো অনেক বেশি প্রাণঘাতী হতে চলেছে।
করোনাকালে আগামী জুলাইয়ে জাপানে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক আসর নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগের কথা জানানো হয় এদিন। এ সময় বলা হয়, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে।
করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরনকে (বি.১.৬১৭) ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যায়িত করা হয়েছে চলতি সপ্তাহে। দেশটিতে এই ধরনটির প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় গত বছরের অক্টোবরে।
ভারতে দ্রুত ও ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনার ধরনটি এরইমধ্যে বিশ্বের ৪৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএউচও। অন্যান্য দেশে পাওয়া ধরনগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
এমন পরিস্থিতিতে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে করোনার টিকাদানই একমাত্র উপায়। ভারতকে তাদের টিকাদান কর্মসূচি আরো জোরদার করা উচিত।
প্রসঙ্গত, আজ শনিবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৮ জন, মারা গেছে ৩ হাজার ৮৯০ জন। এর বিপরীতে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৯ জন।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানায়, মহামারিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ৯০৭ জন। আর করোনায় মৃত্যু হলো ২ লাখ ৬৬ হাজার ২০৭ জনের।